বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে ইমন দেখে তার স্ত্রী বাড়ির গেইটের বাইরে পায়চারি করছে। ব্যস্ত শহরের রাস্তায় তখন পিঁপড়ার ঝাঁকের মতো ছোটো-বড়ো গাড়ি আসা যাওয়া করছে। ইমনের স্ত্রী শিশির রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছে। হাতের ইশারায় গাড়ির গতি কন্ট্রোলে আনতে চেয়েও পারছে না সে। একটা বাস তার গায়ের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল, তখন ইমন এসে শিশিরের এক হাত ধরে টান মারে। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুজন কাঁপতে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর ইমন শিশিরের হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসে। একটা চড় বসায় সে শিশিরের গালে। শিশির গালে হাত বুলাতে বুলাতে অশ্রুসিক্ত দৃষ্টিতে তাকায় স্বামীর দিকে। ইমন রাগ নিয়ে বলে, 'তোমাকে না বলেছি গেইটের বাহিরে না যেতে। আজ তোমার কিছু একটা হয়ে গেলে আমার কী হতো?'
শিশির কাঁদতে কাঁদতে বলে, 'তুমি আমাকে বের হতে দাও না, সারাক্ষণ বন্দী করে রাখো ঘরে। আমার কি ইচ্ছে করে না একটু বাইরে যেতে?' তখনও গালে হাত শিশিরের। চোখে জল।
'বাইরে কী কাজ তোমার? কী দেখবে বাইরে? কিচ্ছু নেই দেখার। আর কখনও এরকম করবে না।' ধমক দিলো ইমন। কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে অন্য রুমে চলে যায় শিশির।
রাতে ঘুমানোর সময় ইমনের অভ্যাস শিশিরের গায়ে পা তুলে দেওয়া। নয়তো ঘুম আসে না তার। বিকেলের ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে সে শিশিরের গায়ের উপর আলতো করে ডান পা'টা তুলে দেয়। শিশির অন্যপাশ হয়ে শুয়েছিল। স্বামীর পায়ের স্পর্শ পেয়ে হাত দিয়ে ধরে পা'টা নামিয়ে দেয় সে। ইমন আবারও পা তুলে দিলে শিশির মুখে বিরক্তিকর শব্দ করে পা'টা ধরে ঝাড়া দেয়। ইমন তখন বলে উঠে, 'তুমি তো জানো ঘুমানোর সময় কিছু না কিছুর উপর পা তুলে দিতে হয়। এটা আমার অভ্যাস। নয়তো ঘুম আসে না।'
শিশির স্বামীর দিকে ঘুরে দুহাতে তাকে বিছানার শেষ মাথায় ঠেলে দিলে, ইমন আবারও স্ত্রীর কাছে এসে নরম কণ্ঠে বলে,
'শুধু রাতের জন্য রাগটা কমাও, সকালে না হয় আবার রাগ করো।'
'নাহ্, সরো তুমি। একদম কাছে আসার চেষ্টা করবে না। তুমি আমাকে মারছো।'
'প্লিজ প্লিজ, শুধু রাতটা কাটতে দাও...'
'না..আ...আ...আহ্..... সরো।' চিল্লায় ওঠে ইমনকে আবারও দুহাতে সরিয়ে দেয় শিশির। ইমন অন্যপাশে কাত হয়ে কিছুটা রাগীস্বরে বলে, 'বেশ করেছি মেরেছি, পাজি মেয়ে একটা।'
শিশির প্রত্যুত্তর না করে স্বামীর উল্টোদিকে কাত হয়। ইমন হাত বাড়িয়ে সুইচ টিপে বাতি অফ করে দেয়।
পরদিন একটা কোলবালিশ কিনে আনে ইমন। রাতে শোয়ার সময় সে কোলবালিশটা দুজনের মাঝখানে রাখে। শিশির কিছু বলে না। সে নিজের মতো অন্যপাশ হয়ে শুয়ে থাকে। ইমন কোলবালিশের উপর একটা পা তুলে দিয়ে নিজে নিজে বলতে থাকে, 'আজ থেকে তুই আমার বউ। তোর নাম শিশির।'
ইমনের এমন মন্তব্যে স্ত্রীর মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। সে তার মতো শুয়ে থাকলো। ইমন কোলবালিশটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ইমন কোট-টাই পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলে, 'শিশির, আমার জুতা জোড়া বের করো তো... এই শিশির... '
'খবরদার, আমার নাম ধরে ডাকবে না তুমি।' রাগান্বিত হয়ে বলে শিশির।
'আমি তোমার নাম ধরলাম কই? আমি তো আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বললাম জুতা জোড়া বের করতে।' ইশারায় বিছানার উপর কোলবালিশটাকে দেখিয়ে দিলো ইমন। শিশির নাক ছিটকালো। ইমন নিজেই জুতা জোড়া বের করে পরে নিলো। ঘর থেকে বের হওয়ার পর সে ভেতরে উঁকি মেরে দেখলো, শিশির কোলবালিশটাকে ধরে বিছানার উপর আঁচড়াচ্ছে।
'আমি কিন্তু এখনও যায়নি।' বলে ওঠে ইমন। তার কণ্ঠ শুনে শিশির কোলবালিশটাকে ছেড়ে দিয়ে এমন ভান করে যেন ছুঁয়েও দেখেনি সে ওটাকে। ইমন মৃদু হেসে বেরিয়ে গেল।
অফিসে নতুন একটা মেয়ে এসেছে। ইমন তাকে তার ডেস্ক দেখিয়ে দিয়ে, কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। তখন অফিসের পিয়ন এসে বলে, 'ইমন স্যার, আপনাকে বড়ো স্যার ডাকছেন ভেতরে।'
'আচ্ছা, তুমি যাও, আমি ম্যাডামকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে আসছি।
'আচ্ছা, আপনি যান, আমি সব বুঝেছি।' মৃদু হেসে বললো নতুন মেয়েটা।
'ঠিক আছে। কোনো সমস্যা হলে জানাবেন আমাকে।'
মাথা দুলালো মেয়েটা। ইমন অফিসের বস মামুন সাহেবের কক্ষে এসে বললো, 'স্যার, ডেকেছেন?
'ওহ ইমন? হ্যাঁ, বসো...' সামনের ফাইল থেকে চোখ সরিয়ে ইমনের দিকে তাকালেন মামুন সাহেব। তারপর বললেন, 'অফিস থেকে একটা ট্যুরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছি সকলকে নিয়ে। দায়িত্বটা তোমাকে দিতে চাচ্ছি...'
'ঠিক আছে স্যার। আমি সব সামলে নেবো।
'এইজন্যই ডাকছি তোমায়। তুমি তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাও।
'জি স্যার।' উঠে দাঁড়িয়ে বসের কক্ষ থেকে বের হতে গিয়ে কী যেন মনে করে ঘুরে তাকালো ইমন বসের দিকে। ইতস্তত করে বললো, 'স্যার কিছু মনে করবেন না, এই ট্যুরে আমি আমার স্ত্রীকেও নিয়ে যেতে চাচ্ছি। আসলে অনেকদিন হয়ে গেল, ওকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছি না।'
ইমনের কথা শুনে মামুন সাহেব তাকালেন তার দিকে মুখটা মলিন করে। কী বলবেন বোঝে উঠতে পারলেন না কয়েক মুহূর্ত। তারপর বললেন, 'বেশ, মন্দ কী? শিশিরও যাবে আমাদের সাথে।'
ইমন খুশি হয়ে বেরিয়ে আসে বসের কক্ষ থেকে।'
অফিস শেষে বাসায় এসে ইমন দেখে কোলবালিশটা ছিড়ে একাকার। চমকে উঠে সে শিশিরকে জিজ্ঞেস করে, 'এ কী হাল করেছো তুমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর?
'আমি কিছু করিনি।' মুখ বাঁকিয়ে অন্যদিকে ঘুরে শিশির। ইমন তার সামনে গিয়ে বলে, 'তুমি না করলে কি আকাশ থেকে পরী নেমে করেছে এসব?
'জানি না... আমাকে কিছু বলবা না। আমার সাথে কথাও বলবা না।'
কোলবালিশের ছেড়া টুকরোগুলো দু'হাতে চোখের সামনে ধরে ইমন অসহায়ভাবে তাকায় শিশিরের দিকে। তারপর বলে, 'ঠিক আছে, আজ রাতেই হবে এর হিসাব।'
শিশির কিছু বলে না। ইমনের আড়ালে গালে হাত দিয়ে ফিক করে হেসে অন্য রুমে চলে যায়।
রাতে যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয় দুজন, ইমন তখন পা তুলে দেয় শিশিরের গায়ের উপর। শিশির ওর পা'টা ঝাড়া দিয়ে বলে, 'সরো... ওদিকে যাও, কাছে আসার চেষ্টা করবা না একদম।'
'তাহলে আমার কোলবালিশটা এনে দাও।'
'তুমি নিয়ে আসো যেখান থেকে পারো। আমাকে বলবে না।'
'তুমি-ই তো ছিড়েছো।'
'আমি ছিড়িনি।'
'ঠিক আছে। কালকে আমার তৃতীয় স্ত্রী ঘরে তুলবো। আজ রাতটা একটু কষ্ট করে কাটাই...'
কিছু বলে না শিশির। অন্যপাশ হয়ে সে ইমনের আড়ালে মুখ ভেংচায় কেবল।
অফিসের ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে এক ধ্যানে হাঁটছিল ইমন। তখন পেছন থেকে কে যেন ডাক দেয়, 'ইমন সাহেব, ইমন সাহেব...'
ঘুরে তাকায় সে। দেখে, অফিসের নতুন মেয়েটা।
'কিছু বলবেন ম্যাডাম?'
'আরে এতো ম্যাডাম ম্যাডাম করেন কেন? আমরা তো কলিগ। নাম ধরেই ডাকেন। নাকি নামটাও জানেন না?'
'জানি, সুমাইয়া।'
'হুমম, ডাকনাম সুমি। সুমি বলেই ডাকতে পারেন। তা কোথায় যাচ্ছেন?'
'এইতো সামনে। আমাদের অফিস কেমন লাগছে আপনার?
'হুমম, ভালোই সবকিছু।'
'অফিস থেকে ট্যুরে যাচ্ছি আমরা। আপনার তো কোনো সমস্যা নেই যেতে?'
'নাহ্, সমস্যা নেই কোনো। যেতেই পারি...'
'জানেন, আমি খুব খুশি। অনেকদিন পর আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাবো কোথাও।'
'ওয়াও! আপনি বিবাহিত?'
'হুমম...'
'ভাবি দেখতে কেমন? দেখাবেন না?'
'ট্যুরে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন।'
'আচ্ছা, তো ভাবিকে নিয়ে বেড়াতে যান না কেন?'
'আসলে ও যেতে রাজি হয় না, গাড়িকে অনেক ভয় পায়...'
'আপনিও তো কম ভয় পান না গাড়িকে। বারবার পেছনে তাকাচ্ছেন। আরে আমরা ফুটপাত দিয়ে হাঁটছি। এভাবে ভয় পাচ্ছেন কেন গাড়িকে?'
অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ করে সুমি ইমনের মাঝে। বারবার পেছনে আর সামনে তাকাচ্ছিল। কী যেন অজানা ভয়ে আছে সে। ইমন ভয়ে ভয়ে সামনে তাকিয়ে বলে, 'নাহ্, ভয় পাচ্ছি না। আপনি কি কোথাও যাবেন?'
'আর কোথায় যাবো অফিস শেষে? এদিকেই আমার বাসা। বাসায় যাবো।
'আচ্ছা... চলুন। আমার বাসাও ওদিকে। সামনেই। ওহ্, তার আগে আপনাকে নিয়ে একটু শপিংমলে যাবো, সময় হবে আপনার?'
'সময় তো হবে? কিন্তু হঠাৎ শপিংমলে কেন?'
'শাড়ি কিনবো একটা, শিশিরের জন্য।'
'শিশির নিশ্চয়ই আপনার স্ত্রী?'
'হ্যাঁ, সেও আমাদের সাথে ট্যুরে যাবে। তাই একটা নতুন শাড়ি গিফট করবো তাকে।'
'আচ্ছা আচ্ছা। খুব ভালোবাসেন ভাবিকে?'
মৃদু হাসলো ইমন। দুজনে শপিংমলে গিয়ে একটা শাড়ি কিনলো কয়েকটা দোকান ঘুরে। তারপর হাঁটতে হাঁটতে ফিরে চললো বাসার দিকে। কিছুদূর হেঁটে ইমন একটা বাসা দেখিয়ে বললো, 'এটাই আমার বাসা।'
'ওহ্, চায়ের দাওয়াত দিবেন না?'
'আরেকদিন দেবো। শিশির একটু অসুস্থ। একদিন সময় করে অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিবো।'
'ঠিক আছে।' হেসেই হাত নেড়ে বিদায় জানালো সুমাইয়া। ইমন শাড়িটা নিয়ে বাসায় ঢুকলো। শিশির এগিয়ে এলো তার দিকে। ইমন শাড়িটা হাত দিয়ে পেছনে লুকিয়ে রেখেছিল। শিশিরের দিকে তাকিয়ে বললো, 'বলো তো কী এনেছি?'
'আরেকটা কোলবালিশ এনেছ?'
'না, তোমার জন্য শাড়ি এনেছি। দেখো তো পছন্দ হয় কি না।'
শিশির শাড়িটা হাতে নিয়ে খুশিতে ভেঙে পড়লো, 'হঠাৎ শাড়ি আনলে কেন?'
'কয়েকদিন পর অফিস থেকে ট্যুরে যাবো আমরা, তুমিও যাবে। ওইদিন পরবা এটা।'
'সত্যি?'
'হ্যাঁ। আর অভিযোগ করবে না যে তোমাকে কোথাও বের হতে দিই না।'
শিশির খুশিতে জড়িয়ে ধরলো ইমনকে। দরজায় তখন কারও অস্তিত্বের শব্দ শোনা গেল। ইমন ফিরে দেখে সুমাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। সুমাইয়ার চেহারাটা বিবর্ণ হয়ে আছে।
'আপনি!' অবাক হয় ইমন।
'ইমন ভাই, আপনার একটা ফাইল আমার হাতে ভুলে থেকে গিয়েছিল, ওটা দিতে এসেছি।' ইতস্তত করে বললো সুমাইয়া। বলার সময় কণ্ঠটা তার জড়িয়ে আসছিল বারবার। হঠাৎ কী হলো ওর? ইমন তার হাত থেকে ফাইলটা নিয়ে বললো, সুমাইয়া, আমার স্ত্রীর সাথে পরিচিত হয়ে নিন। এই হলো আমার স্ত্রী শিশির।'
সুমাইয়া হাত তুলে সালাম দিলো ইমন যেখানটায় শিশিরকে দেখিয়ে দিলো ওদিকে তাকিয়ে। কিন্তু, ওখানে শিশির নামের কারও অস্তিত্ব ছিল না। ইমন এতক্ষণ একা একাই কার সাথে যেন কথা বলছিল। তা দেখেই সুমাইয়ার চেহারাটা এমন বিবর্ণ হয়ে গেছে। ইমন এবার শিশিরের উদ্দেশ্য বললো, 'শিশির, এ হলো সুমাইয়া। আমার নতুন কলিগ।'
শিশির বললো, 'হাই সুমাইয়া, দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বসুন।'
সুমাইয়া ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলো। ইমন বললো, 'সুমাইয়া, শিশির আপনাকে বসতে বলছে।'
'আমাকে বসতে বলছে? ও হ্যাঁ হ্যাঁ, কিন্তু, আজ তো আর বসতে পারবো না। বাসায় একটু কাজ আছে। আসি তবে আজ। ভাবি, আসি...' সেও এমনভাবে কথাটা বললো, যেন শিশির নামের একজন সামনে আছে। ঘুরে চলে যেতে লাগলো সে। ব্যাপারটা তার হজম হচ্ছে না। কার সাথে কথা বলছেন ইমন সাহেব। কেউ তো নেই এখানে? তবে...?'
ট্যুরে যাওয়ার আগেরদিন সুমাইয়া তার প্রশ্নের জবাব পেল অফিসের বসের কাছে। ট্যুরে ইমনের স্ত্রীও যাবে শুনে সে প্রশ্নটা করলো বসকে, 'স্যার, আমার একটা প্রশ্নের জবাব দেবেন?'
'কী প্রশ্ন সুমাইয়া?'
'স্যার, ইমন সাহেবের স্ত্রীর ব্যাপারটা।'
'ওহ্।' বসের চেহারাটা বিষণ্ণ হয়ে ওঠলো হঠাৎ। 'আসলে সুমাইয়া, তুমি তো নতুন, তাই জানো না। অফিসের সবাই জানে। ইমনের স্ত্রী আসলে মারা গেছে। দুইবছর আগে একদিন রোড অ্যাক্সিডেন্টে শিশিরের মৃত্যু হয়। কিন্তু, শিশিরের মৃত্যুটা সে মানতে পারেনি। শিশির মারা গেলেও ইমনের কাছে সে এখনও জীবিত। ইমন তার সাথে কথা বলতে পারে, সবকিছু করতে পারে। যদিও পুরোটা তার কল্পনা। কল্পনায় শিশিরকে সে যেভাবে খুশি দেখতে পারে। এতেই সে সুখে আছে। আমরাও শিশিরের কাল্পনিক সত্তা নিয়ে তাকে কিছু বলি না।'
'ওহ্।' পুরো ব্যাপারটা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল সুমাইয়া।
যেদিন সবাই অফিসের পক্ষ থেকে ট্যুরে যাবে, সেদিন ইমনের ঠিক পেছনের সিটে বসেছিল সুমাইয়া। ইমনের পাশের সিটটা খালিই ছিল। সবার চোখে সিটটা খালি মনে হলেও, ইমনের চোখে ওখানটাতেই বসে আছে শিশির। ইমন তার সাথে কথা বলে যাচ্ছে অনবরত। পেছন থেকে সুমাইয়া একধ্যানে দেখতে লাগলো, ইমন শিশিরের কাল্পনিক সত্তার সাথে কথা বলতে বলতে প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠছে। একটা লোক এতটা ভালো কী করে বাসতে পারে!
[সমাপ্ত]
~বিভ্রম
#অনুগল্প
লেখনীতে-পূর্ণতা জান্নাত
Post a Comment